মুসলিম হিসেবে কেন আত্নশুদ্ধি অবশ্যক ও অপরিহার্য?
1 min read-
কেন আমাদের আত্নশুদ্ধি অবশ্যক ও অপরিহার্য?
আমাদের ধর্মে পীর বা শায়খের নিকট বাইয়াত হওয়া অপরিহার্য কোনো বিষয় নয়, কিন্তু একজন মুসলিম হিসেবে নিজের আত্মার সংশোধন করানো আবশ্যক। আর যখন কোন ব্যক্তি আত্মশুদ্ধির জন্য নিজের শায়খ অথবা শিক্ষক নিকট শরণাপন্ন হয়, তখন তার আসল উদ্দেশ্য এটাই থাকে যে, আত্মার জন্য অর্জন করার মতো গুণ-বৈশিষ্ট্যসমূহ অর্জন করবে।
আত্মার রোগসমূহ থেকে মুক্ত হবে এবং এ সকল দোষকে নিশ্চিহ্ন প্রায় করে ফেলবে, যাতে এসবের ওপর তার নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা হয়ে যায়। এটাই হলো, তাসাওউফের আসল উদ্দেশ্য। অবশ্য এক্ষেত্রে বিভিন্ন দু’আ- দুরূদ, যিকির-আযকার ও ওজিফা সহায়ক হয়ে থাকে। কিন্তু সকলের জন্যই এসকল যিকির-আযকার দু’আ-দুরূদ ও অজীফার পরিমাণ নির্ধারণ করা, এবং সময় ও অবস্থা অনুযায়ী চিকিৎসা নির্ধারণ করা এবং শায়খের পথ-নির্দেশ ও পরামর্শের ভিত্তিতে হওয়া আবশ্যক। এভাবে যিকির ও অজীফা পাঠ করলেই উপকার হয়। অন্যথায় সাধারণ অবস্থায় এসকল যিকির-আযকার এ পর্যায়ের মৌলিক কোন উদ্দেশ্যও নয়, বরং আসল উদ্দেশ্য হলো, নিজ চরিত্র সংশোধন ও আত্মশুদ্ধি। আর নিজ চরিত্রের সংশোধন ও আত্নশুদ্ধি /আত্মার পরিশুদ্ধি লাভের জন্যই নিজের শায়খকে নিজের অবস্থা জানাতে হয় এবং তার পথ নির্দেশ গ্রহণ করতে থাকতে হয়।
সারা জীবনই একাজ করতে হবে। শায়খের শরণাপন্ন হওয়ার আসল উদ্দেশ্যও এটাই । এ কিতাবে হযরত মাওলানা মুহাম্মাদ ঈসা রহিমাহুল্লাহ আত্মার রোগ এবং আত্মার গুণাবলি সম্পর্কে হযরত থানভি রহিমাহুল্লাহ -এর যেসকল বাণী সংকলন করেছেন, আমি প্রয়োজনানুপাতে তার সামান্য ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণও করে দিচ্ছি। আল্লাহ তাআলা নিজ অনুগ্রহে তা বুঝার এবং এবং তার মাধ্যমে নিজের আত্নশুদ্ধি করার তাওফিক দান করুন। আমিন।