আত্মসম্মান রক্ষা করা ওয়াজিব
উত্তম চরিত্রবান তো সেই ব্যক্তি যে নিজের আত্মসম্মান রক্ষাকরে এবং অন্যের সম্মানকে শ্রদ্ধা করে।
উত্তম চরিত্র সম্পর্কে নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) বলেছেন: আমার উম্মতের মধ্যে তারাই উত্তম যারা সুন্দর চরিত্রের অধিকারী ।” “নিশ্চয়ই, সবচেয়ে পূর্ণ ঈমানের অধিকারী তারাই । সবচেয়ে উত্তম চরিত্রের অধিকারী তারাই যারা পরিবারের প্রতি সবচেয়ে বেশি দয়ালু।” আর তারা আমার উম্মতের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ যারা অহংকারী, বড়াইকারী এবং আড়ম্বরপূর্ণ।
সুন্দর চরিত্র কে আখলাক কে হামিদা বলে। বিনয়ী সুন্দর চরিত্র একটি গুন। মানুষ এর মানুষত্ব বোধ কতটুকো তা তার বিনয়ী ভাব দেখলে বুঝা যায়। প্রশংসনীয় ও উচ্চ পর্যায়ের গুণে গুণানিত হতে বিনয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে বিনয়ী এর বিপরীত একটি বিষয় আত্মলাঞ্ছনা। যা মনে হতে পারে বিনয়ী তবে তা কিন্তু নয়। অন্যের সামনে নিজের নফসকে অপদস্ত করা। এটা শরিয়তের দৃষ্টিতে হারাম।
আল্লাহ তাআলা আত্মসম্মান রক্ষা করা ওয়াজিব করেছেন। নফসকে অপদস্ত করা যাবে না। কিন্তু এ দু’টি বিষয়ের মধ্যে পার্থক্য করা যে, কোন কাজ বিনয়ের জন্য করা হচ্ছে, আর কোন কাজে আত্মলাঞ্ছনা হয়, এর মধ্যে পার্থক্য করা সকলের সাধ্যের কাজ নয়।’
আত্মসম্মান রক্ষার জন্য আমাদের জ্ঞান অর্জন করতে হবে। তবে এটা ভাবা ভুল যে আমরা বই পড়ে সব জানতে পারব। আমাদের বই পড়ার সাথে সাথে আমাদের ইসলামিক জ্ঞানে সমৃদ্ধ ব্যক্তির শাণিদ্ধে থাকাতে হবে। বাস্তবীক ভাবে চিন্তাকে আরো প্রসার করতে হবে। বাস্তবতা মেনে নিয়ে নিজের নফসকে আত্নলাঞ্ছ হতে রক্ষা করা চেষ্টা করতে হবে।