আসরের নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত। Best Article
1 min readআসরের নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত।
ইসলামে পাঁচটি স্তম্ভ রয়েছে। তার মধ্যে নামাজের স্থান দ্বিতীয়। তাছাড়া আল্লাহর ইবাদতের মধ্যে সবচেয়ে বড় ইবাদত হলো নামাজ। আল্লাহর দেওয়া বিধান অনুযায়ী পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুমিন-মুসলমানের জন্য ফরজ করা হয়েছে। আর এই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে আসরের নামাজকে বিশেষ কিছু গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এবং সেই সাথে আসরের নামাজের অনেক ফজিলত রয়েছে। নিচে কুরআন ও হাদিসের আলোকে আসরের নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত সর্ম্পকে তুলে ধরা হলো।
আল্লাহ তাআলা কোরআনে ইরশাদ করেছেন, তোমরা সব নামাজ এবং মধ্যবর্তী নামাজের প্রতি যত্নবান হও। (সুরাঃ বাকারাহ, আয়াতঃ ২৩৮)
মহান আল্লাহ তা’আলা কোরআনে কিছু জিনিসের কসম করেছেন। তিনি যেসব জিনিসের কসম করেছেন, নিশ্চয়ই সেগুলো আল্লাহর নিকট অনেক দামি। তিনি আল-কোরআনে আসরের কসম করেছেন। (সুরাঃ আসর, আয়াতঃ ০১)
উপরের উল্লিখিত দুটি আয়াত থেকে বোঝা যায়, আল্লাহ তা’আলার কাছে আসরের নামাজ কত বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া আরেক আয়াতে তিনি বলেছেন, ‘আপনার রবের প্রশংসা করুন সূর্যোদয়ের আগে এবং সূর্যাস্তের আগে। (সুরাঃ ত্ব-হা, আয়াতঃ ১৩০)
এই আয়াতে সূর্যোদয়ের আগে মানে ফজর এবং সূর্যাস্তের আগে মানে আসর, এই দুই নামাজের গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। এ ছাড়া হাদিসে এই নামাজের বহু ফজিলত বর্ণিত হয়েছে।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ফেরেশতারা পালাবদল করে তোমাদের মধ্যে আগমন করেন। একদল দিনে এবং একদল রাতে। আসর ও ফজরের নামাজে উভয় দল একত্র হয়। তারপর তোমাদের মধ্যে রাত যাপনকারী দলটি যখন উঠে যায়, তাদের প্রতিপালক তাদের জিজ্ঞাসা করেন, আমার বান্দাদের কোন অবস্থায় দেখে এলে? অবশ্য তিনি নিজেই বান্দাদের ব্যাপারে সর্বাধিক জ্ঞাত। জবাবে ফেরেশতারা বলেন, আমরা তাদের নামাজরত দেখে এসেছি। আমরা যখন গিয়েছিলাম তখনও তারা নামাজরত ছিল। (সহিহ মুসলিম, হাদিসঃ ৬৩২)
অথ্যাৎ যে ব্যক্তি নিয়মিত ফজর ও আসরের নামাজ জামাতে আদায় করে, ফেরেশতারা আল্লাহ তাআলার কাছে তার ব্যাপারে প্রতিদিন বলে, আমরা যখন পৃথিবীতে গিয়েছি, তাকে নামাজরত দেখেছি। যখন পৃথিবী থেকে এসেছি, তখনও তাকে নামাজরত দেখেছি।
এ ছাড়া আরেক হাদিসে এসেছে, জাবির বিন আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, আমরা একবার নবীজির কাছে বসা ছিলাম। হঠাৎ তিনি পূর্ণিমার চাঁদের দিকে তাকিয়ে বললেন, অচিরেই তোমরা তোমাদের রবকে দেখতে পাবে, যেভাবে চাঁদ দেখতে পাচ্ছো। আল্লাহকে দেখতে কোনো ধরনের ভিড়ের সম্মুখীন হবে না। যদি এ নিয়ামত লাভ করতে চাও, তাহলে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের আগের (ফজর ও আসর) নামাজের প্রতি যত্নবান হও। (সহিহ বুখারি, হাদিসঃ ৪৮৫১)
অবশ্য আসরের নামাজের ব্যাপারে শুধু ফজিলতই নয়, হাদিসে ধমকিও এসেছে। নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আসরের নামাজ ছেড়ে দিল, তার আমল বিনষ্ট হয়ে গেল। (সহিহ বুখারি, হাদিসঃ ৫৫৩)
আল্লাহ আমাদেরকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামায়াতের সাথে আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।