ইসারইলের মধ্যেই জেরুজালেম ও তেল আবিবের সরকারের সম্পর্কের ফাটল রাস্তায় সাধারণ জনগণের বিক্ষোভ।
1 min readইসরাইলের হামলায় গাজায় নিহতর সংখ্যা ৯৪০০জন ছাড়িয়েছেন। যার মধ্যে অধিকাংশ শিশু এবিং নারী। ধ্বংসস্তুপে পরিনত হয়েছে সম্পূর্ণ গাজা উপত্যকা।
হামাসের হাতে বন্দি ইসরাইলিদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ করল ইসরাইলের সাধারণ জনগণ।
নেতানিয়াহু সরকারকে লক্ষ্য করে ইসরাইলের সাধারণ জনগণে বিক্ষোভ। তাদের দাবি হামাসে হাতে থাকা ইসরাইলি বন্দীদের মুক্তি।
ইসরায়েলের বাণিজ্যিক কেন্দ্র তেল আবিবের রাস্তায় হামাসের কাছে বন্দীদের মুক্তির জ্ন্য বন্দীদের আত্মীয়স্বজন এবং বন্ধুবান্ধব সহ কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী স্লোগান দিয়েছিল: “এখন তাদের বাড়িতে নিয়ে আসুন”।
গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে ইসরাইল সরকারের পূর্ব প্রস্তুতির অভাব এবং বন্দীদের মুক্তির ক্ষেত্রে যে সংকট তৈরি হয়েছে তার বিরুদ্ধে সাধারণ জনগণের রাস্তায় নেমে এসেছে বিক্ষোভ মোকাবেলায় টালমাটাল বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকার।
শনিবার প্রধানমন্ত্রির নেতানিয়াহুর বাসভবনের সামনে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী এসে জমায়েত হয়। বিক্ষোভ থামানোর জন্য পুলিশ বিক্ষোভকারীদের হাতে থাকা ইসরাইলের পতাকা কেড়ে নেয় এবং কিছু ইসরাইলিকে জেলে বন্দি করেন।
নেতানিয়হুকে উদ্দেশে করে হ্যাদাস কালেদেরন বলেছেন,‘‘আপনি বাক্সের বাহিরে এসে চিন্তা করেন। অপরহ্নদের মধ্যে আমার পরিবারের পাঁচজন সদস্য ছিলেন। আমি নিজেকে জাহান্নামে খুঁজে পাই।”তিনি আরো বলেন,‘‘৭ অক্টোবর আকস্মিক হামলার ব্যার্থতার জন্য নেতানিয়াহু সরকারের দায় স্বীকার করেননি । হামাসের এই হামলার ফলে ১৪০০ জন ইসরাইলি নিহত হয় এবং ২৪০ জনকে বন্দী হয়েছে।”
দিন গড়িয়েছে অনেক তবে বন্দিদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার এখনো কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয় নাই। ইসরাইলের সাধারণ জনগণ ভেতর ক্ষোভ বাড়ছে সেই সাথে সরকারের প্রতি তীব্র সমালোচনা করেছে ও তাদের আত্নীয় স্বজন বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে।
নেতানিয়াহু সরকার প্রধান এই যুদ্ধ হওয়ার পূর্বেই ইসরালের কাছে বিভাজনকারী ব্যক্তিত্ব হিসাবে পরিচিত ছিল। বিচার বিভাগের ক্ষমতাকে রোধ করার পরিকল্পনার মাধ্যমে ঠেলে দিয়েছিলেন যা কয়েক হাজার মানুষকে প্রতিবাদ করার জন্য রাস্তায় নিয়ে এসেছিল।
শনিবার ইসরাইলের ১৩ টি টেলিভিশনের চ্যানেল একটি জরিপ শেষে ফলাফল প্রকাশ করেছন যেখানে ইসরাইলে ৭৬ শতাংশ জনগণ মনে করে নেতানিয়াহু সরকার পদত্যাগ করা উচিৎ। সেই সাথে ৬৪ শতাংশ জনগণ মনে করে অবিলম্বে যুদ্ধ বিরতির পর দেশটিতে নতুন নির্বাচন করা উচিত।