ইসলাম প্রচারে একে-অপরের সহযোগিতা করা।
1 min readইসলাম প্রচারে একে-অপরের সহযোগিতা করা।
ইসলাম প্রচার বা দ্বীন প্রচারে একে-অপরের সহযোগীতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যিনি দ্বীন প্রচার করেন তিনি যেন অর্থাৎ দাঈ তিনি যেন “একলা চলো” নীতি অবলম্বন না করেন। দাঈদের কাজ হলো উম্মাহকে সঙ্গে নিয়ে ইসলাম প্রচার করা। ইসলাম প্রচার বা দ্বীনের দাওয়াতের কাজে দাঈরা এক অন্যের সহযোগীতা করবেন, তারা নিজেদের মধ্যে শলাপরামর্শ করবেন।
মহান আল্লাহ তা’আলা বলেন, আর তোমাদের মধ্যে একটা দল থাকা আবশ্যক, যারা মানুষকে কল্যাণের দিকে আহবান করবে এবং অন্যায় থেকে নিষেধ করবে। বস্তুত তারাই হলো সফলকাম। তোমরা তাদের মতো হয়ো না, যারা পরষ্পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে এবং স্পষ্ট প্রমাণাদি এসে যাওয়ার পরও তাতে মতভেদ করেছে। এদের জন্য রয়েছে ভয়ংকর শাস্তি। (সুরাঃ আলে ইমরান, আয়াতঃ ১০৪-১০৫)
অন্য আয়াতে মহান আল্লাহ তা’আলা বলেন, তুমি বলো, আমি তোমাদের একটি বিষয়ে উপদেশ দিচ্ছি তা এই যে, তোমরা আল্লাহর জন্য দুই দুইজন বা এক একজন করে দাড়িয়ে যাও। (সুরাঃ সাবা, আয়াতঃ ৪৬)
দুনিয়াতে যারা খারাপ কাজে লিপ্ত থাকে এবং যারা উম্মাহকে খারাপ কাজের উপদেশ দেয় তারা সবাই একাট্টা। সেখানে আল্লাহর পথের দাঈরা কেন একাট্টা হবে না? রাসুল (সা.) ও তার সাহাবীগণ দ্বীন প্রচারের কাজে তারা একে-অন্যের সাহায্য ও সহযোগীতা করতেন।
যারা মানুষকে মন্দ ও খারাপ কাজের দাওয়াত দেয় ওরা দ্বীনের দাঈদের মধ্যে দ্বন্দ্ব-বিভেদই চায়। তারা এটা ভালো করে জানেন যে, দ্বীনের দাঈদের মধ্যে যদি ঐক্য ও সহযোগীতা থাকে তাহলে তারা সফলকাম হবে।
মহান আল্লাহ তা’আলা বলেন, তোমরা আল্লাহ ও তার রাসুলের অনুগত্য করো। আপসে ঝগড়া করো না। তাহলে তোমরা শক্তিহীন হবে এবং তোমাদের প্রতিপত্তি উঠে যাবে। তোমরা ধৈর্য ধারণ করো। নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে থাকেন। (সুরাঃ আনফাল, আয়াতঃ ৪৬)
সুতরাং, আমাদের ঠিক তেমনটাই করা উচিত যেমনটা মহান আল্লাহ তা’আলা নির্দেশ দিয়েছেন এবং ইসলাম প্রচারের ক্ষেত্রে দ্বীনের দাঈদের মধ্যে ঐক্যের জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করা, একে- অপরের সাহায্য ও সহযোগীতা করা।