গাজায় চাকরি হারিয়েছে ৬১ শতাংশ কর্মচারী (জাতিসংঘ)।
1 min readচাকরি হারিয়েছে
জাতিসংঘ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের যুদ্ধে গাজায় ৬১ শতাংশ কর্মচারী তাদের চাকরি হারিয়েছে।
জাতিসংঘের বিবৃতি
জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা জানিয়েছেন, গাজার এই অর্থনৈতিক পতন প্রতিফলিত হবে আগামী বহু বছর ধরে।হামাস হামলার জেরে ইসলাইলের একের পর এক হামলায় বেহাল দশা ফিলিস্তিনি বাসিদের। মৃত্যুপুরিতে পরিনত হয়েছে গাজা উপত্যকা। ১৮২,০০০ কর্মকর্তা ও কর্মচারী বেকার হয়ে পরেছে এই অল্প কিছু দিনে। এই বিষয় নিশ্চিত করে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা বলেছেন ফিলিস্তিনি এই অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে উঠতে আগামী বহু বছর সময় লেগে যেতে পারে।
ILO এর বিবৃতি
ILO এর আঞ্চলিক পরিচালক রুবা জারাদাত বলেছেন, বর্তমান ফিলিস্তিনের শ্রমবাজার মর্মান্তিক সংকটের মুখে। আমাদের প্রাথমিক মূল্যায়নের ফলাফল উদ্বেগজনক। আরবরা সংঘাত অব্যাহতির আশায় থাকলে ফল আরো খারাপ হবে। জারাদাত আরোও বলেন, গাজার বাসিন্দাদের অবশ্যই মানবিক সাহায্যে ও দ্রুত নিরাপদ এবং বাধাহীন প্রবেশাধিকার দিতে হবে।
বর্তমান যুদ্ধ শুধুমাত্র জীবন ও মৌলিক চাহিদা ক্ষয়ক্ষতি বিষয়টা এমন নয়। এই যুদ্ধে মানবিক বির্পযয়, সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংকট ঘটেছে। বাসস্থান হারিয়ে, খাদ্যের অভাব দেখা দিয়েছে সেই সাথে কর্ম হারা হয়েছে লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষ। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ব্যবসা-বাণিজ্য যার অনুভূতি রেশ থাকবে বহু বছর।
ইসরাইল ও হামাসের যুদ্ধের প্রভাবের কারনে ফিলিস্তিনির পশ্চিম তীরে আনুমানিক ২৪ শতাংশ কর্মকর্তা কর্মচারী তাদের চাকরি হারিয়েছে যা ILO এর তথ্য মতে ২,০৮,০০০ ।
UN agency এর বিবৃতি
UN agency তথ্য অনুসারে ফিলিস্তিনির দুই ভূ-খন্ডেচাকরি হারিয়েছে যার ফলে ক্ষতি হচ্ছে দৈনিক আয় ১৬ মিলিয়ন ডলার।
ILO এর বিবৃতি
ILO এর আঞ্চলিক পরিচালক রুবা জারাদাত আরো বলেন, আমাদের দেশের সরকার, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিয়োগকর্তা ও অংশীদার, জাতিসংঘ ও অন্যান্য মানবাধিকার সংস্থা সাথে যোগাযোগ হয়েছে, আমরা যুদ্ধের প্রভাবে চাকরি হারা ও ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়িকদের তাৎক্ষনিক সহায়তা প্রদানের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করছি।”আমরা তাদের দীর্ঘমেয়াদে অত্যাবশ্যক শ্রম বাজারের তথ্য সংগ্রহ এবং চাকরি ও উদ্যোগ পুনরুদ্ধার করার জন্য সহায়তা করব, মানবাধিকার সংস্থা ও সামাজিক সংগঠনের সাথে মিলিত হয়ে, আমরা সর্বোচ্চ পরিমাণে দেওয়ার চেষ্টা করব।”