ধন-সম্পদের বিপদ থেকে বাঁচতে করণীয়।
1 min readধন-সম্পদের বিপদ থেকে বাঁচতে করণীয়।
দুনিয়ার জীবনে ধন-সম্পদের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। সম্পদ না থাকলে পার্থিক জীবনে যেমন স্বস্তি থাকে না তেমনি মহান আল্লাহ তা’আলা ধন-সম্পদের ব্যাপারে সর্তক করেছেন।
পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি পাথিব জীবনে শোভা- সৌন্দর্য এবং স্থায়ী সৎকাজ তোমার প্রতিপালকের কাছে পুস্কারপ্রাপ্তির জন্য শ্রেষ্ঠ (সুরাঃ কাহফ,আয়াতঃ ৪৬)
সম্পদ যদি সঠিক পদ্ধতিতে ব্যবহার করা না হয়, তাহলে তা মানুষের জন্য বিপদের কারন হতে পারে।
ধন-সম্পদের বিপদ থেকে বাঁচতে করণীয়সমূহঃ
আল্লাহ তা’আলা মানুষকে যেভাবে সম্পদের বিপদের ব্যপারে সর্তক করছেন, তেমনি তার থেকে বাচাঁর উপায় বলে দিয়েছেন।
ইরশাদ হয়েছে, কেউ দান করলে, আল্লাহভীরু হলে এবং যা উত্তম তা সত্য বলে গ্রহণ করলে আমি তার জন্য সুগম করে (জান্নাতের) সহজ পথ।
অন্যথায় কেউ কার্পণ্য করলে নিজেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ মনে করলে, আর যা উত্তম তা অস্বীকার করলে আমি তার জন্য সুগম করে দেব (জাহান্নামের) কঠোর (সুরাঃ আল-লায়ল, আয়াতঃ ৫-১১)
১. কার্পণ্যতা পরিহার করাঃ
পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, যারা কার্পণ্যতা করে এবং অন্যকে কার্পণ্যতার নির্দেশ দেয় এবং আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে যা দিয়েছে তা গোপন করে, আর আমি অবিশ্বাসের জন্য লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছি। (সুরাঃ নিসা, আয়াতঃ ৩৭)
২. সম্পদের মায়া ত্যাগ করাঃ
সম্পদের মোহ মানুষকে বিপদগ্রস্ত করে ফেলে, তাকে অন্যায় কাজের দিকে নিয়ে যায়। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, দুনিয়ার মোহ সব পাপের মূল। (মিসকাতুল মাসাবিহ)
৩. সম্পদ পুঁজি করে না রাখাঃ
পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, আর যারা স্বর্ণ ও রোপ্য পুঁজি করে এবং তা আল্লাহর পথে ব্যয় করে না তাদের জন্য বেদনাদায়ক শাস্তির সংবাদ দিন। যে দিন জাহান্নামের আগুনে তা (সম্পদ) উত্তপ্ত করা হবে এবং তা দ্বারা তাদের ললাটে, র্পাশ্বদেশে ও পৃষ্ঠদেশে দাগ দেওয়া হবে। সে দিন বলা হবে এটা হলো তোমাদের সেই পুঁজিকৃত সম্পদ যা তোমরা করেছিলে। (সুরাঃ তওবা, আয়াতঃ ৩৪-৩৫)
৪. অবৈধ পথের উর্পাজন পরিহার করাঃ
ইসলামে অবৈধ ও অন্যায় উর্পাজন নিষিদ্ধ।
আল্লাহ তা’আলা বলেন, তোমরা পরস্পরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস কোরো না এবং মানুষের ধন-সম্পতি কিছু অংশ জেনে শুনে অন্যায় ভাবে আত্নসাৎ করো না । (সুরাঃ বাকারা, আয়াতঃ ১৮৮)
আল্লাহ তা’আলা যেন আমাদের সবাইকে সম্পদের বিপদ থেকে বাঁচার তাওফিক দান করেন। আমিন