পায়ে হেঁটে মসজিদে যাওয়ার গুরুত্ব ও ফজিলত। Best Article
1 min readপায়ে হেঁটে মসজিদে যাওয়ার গুরুত্ব ও ফজিলত।
পায়ে হেঁটে মসজিদে যাওয়ার গুরুত্ব ও ফজিলত।
জামাতের সাথে নামাজ আদায়ের জন্য ইসলামে অনেক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে নামাজ আদায়ের জন্য পায়ে হেঁটে মসজিদে যাওয়ার ব্যাপারেও অনেক বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া জামাতে নামাজ পড়ার জন্য পায়ে হেঁটে মসজিদে গমন করা অনেক বেশি সওয়াবের কাজ। নামাজ আদায়ের জন্য পায়ে হেঁটে আল্লাহর ঘরে গমন করলে ওই ব্যক্তি আল্লাহর জিম্মায় থাকে।
আবু উমামা আল-বাহেলি (রা.) রাসুল (সা.) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন, তিন ধরনের মানুষ মহান আল্লাহর জিম্মায় তাকে। ১. যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে জিহাদ করার জন্য বের হয়। সে মৃত্যুবরণ করলে আল্লাহ তা’আলা তাকে জান্নাতে প্রবেশ করান অথবা নিরাপদে ফিরে এলে তাকে নেকি ও গনিমতের প্রাপ্য অংশ দান করেন। ২. যে ব্যক্তি জামাতে সালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে মসজিদের দিকে ধাবিত হয়, ওই ব্যক্তিও আল্লাহর জিম্মায় থাকে। এ অবস্থায় সে যদি মারা যায়, তাহলে আল্লাহ তা’আলা তাকে জান্নাত দান করেন। আর সে ফিরে এলেও তার প্রাপ্য সওয়াব ও যুদ্ধলব্ধ সম্পদের অংশীদার করেন। ৩. যে ব্যক্তি নিজ বাড়িতে প্রবেশ করার সময় পরিবারের লোকজনকে সালাম দেয়, সে-ও মহান আল্লাহর জিম্মায় থাকে। (আদাবুল মুফরাদ, হাদিসঃ ১০৯৪)
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আমি কি তোমাদের এমন বস্তুর সন্ধান দেব না, যা করলে আল্লাহ তা’আলা বান্দার পাপরাশি দূর করে দেন এবং মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেন? লোকেরা বলল, হে আল্লাহর রাসুল! আপনি বলুন। তিনি বললেন, তা হলো, অসুবিধা ও কষ্টকর অবস্থায়ও পূর্ণরূপে অজু করা, মসজিদের দিকে বেশি পদচারণ করা এবং এক সালাতের পর অন্য সালাতের জন্য অপেক্ষা করা। (মুসলিম, হাদিসঃ ২৫১)
আনাস ইবনু মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যারা রাতের অন্ধকারে পায়ে হেঁটে মসজিদে (সালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে) হাজির হয়, তাদের কিয়ামতের দিনে পরিপূর্ণ নূরের সুসংবাদ দাও। (ইবনে মাজাহ, হাদিসঃ ৭৮১)
জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, বানু সালিমাহ গোত্রের লোকজন মসজিদে নববীর কাছে এসে উক্ত খালি যায়গায় বসতি স্থাপন করার জন্য ইচ্ছা পোষণ করল। বিষয়টি রাসুলুল্লাহ (সা.) জানতে পারলে তিনি তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, হে বানু সালিমাহ গোত্রের লোকজন তোমরা তোমাদের বর্তমান বাড়িতেই থাকো। কেননা এতে (দূরত্বের কারণে) মসজিদে আসতে তোমাদের পদক্ষেপ বৃদ্ধি পাবে এবং তোমাদের পদচিহ্ন (তোমাদের আমলনামায়) লিখিত হবে। তারা বলল, আমরা এতে (এ কথায় এতো খুশী হলাম যে) আমাদের বাড়ি-ঘড় স্থানান্তরিত করে আসলেও এতো খুশী হতাম না। (মুসলিমঃ ৬৬৫)
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি সুন্দরভাবে অজু করল। অতঃপর মসজিদে গিয়ে দেখল যে লোকজন সালাত আদায় করে ফেলেছে। আল্লাহ তা’আলা তাকে ওই ব্যক্তির অনুরুপ সওয়াব দেবেন, যে ব্যক্তি শুরু থেকে উপস্থিত থেকেছে এবং সালাত আদায় করেছে তাদের নেকি থেকে কম করা হবে না। (আবু দাউদ, নাসাঈ)
উপরোক্ত হাদিসগুলো দ্বারা আমরা বুঝতে পারি যে পায়ে হেঁটে মসজিদে গমণ করার প্রতিটি পদক্ষেপই সওয়াব।