বিয়ের অনুমোদন দেওয়া হলো মক্কা ও মদিনার দুই মসজিদে।
1 min readমক্কা ও মদিনা
বিয়ের অনুমোদন দেওয়া হলো মক্কা ও মদিনার দুই মসজিদে ।
মুসলিম বিশ্বের কাছে পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচনা করা হয় মক্কা ও মদিনার। বিশ্ব নবী হযরত মোহাম্মাদ (স.) এর জন্ম স্থান ও হিজরতে স্থান হিসাবে এই দুই স্থান মুসলিম বিশ্বের কাছে বেশি পরিচিত। ইসলামের সবচেয়ে সন্মানজনক ও মার্যাদাপূর্ণ দুটি স্থান মক্কার পবিত্র মসজিদুল হারাম ও মদিনার পবিত্র মসজিদে নববী। মক্কা ও মদিনার এই দুই মসজিদে মুসলিমদের বিয়ে পড়ানোর অনুমোদন দিয়েছে সৌদি আরব সরকার প্রধান। প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ মুসলিম তাদের হজ্জ ও ওমরাহ পালনে করতে সৌদি আরব যায়। এই বছর হজ্জ ও ওমরাহ যাত্রীদের অভিজ্ঞতাকে আরো সমৃদ্ধ করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অবশ্যই এ আয়োজনে সৌদি আরবে বিবাহ বিষয়ক কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে। মহানবী মুহাম্মদ (সা.) মসজিদে এক সাহাবির বিয়ে পড়িয়েছেন। পবিত্র মসজিদে বিয়ে পড়ানোর রীতি মদিনাবাসীর মধ্যে অনেক আগ থেকেই রয়েছে। তিনি আরো বলেন, পবিত্র মসজিদুল হারাম বা মসজিদে নববীতে বিয়ের আয়োজনে বেশ কিছু নির্দেশনা পালন করতে হবে।
জানা যায়, পবিত্র গ্র্যান্ড মসজিদ ও মসজিদে নববীতে সহজে ও স্বাচ্ছন্দ্যে বিবাহ আয়োজনের অনুমোদন দেয় সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। বিবাহের মতো শুভ বিষয়কে আরো গুরত্ব ও এর তাৎপর্য সম্পর্কে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরার একটি অন্যন প্রচেষ্টা। এ উদ্যোগকে কাজে লাগিয়ে নানা ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনের সুযোগ রয়েছে বলে মনে করেন অনেকে। হাদিসের ভাষমতে, ‘ইসলামে মসজিদে বিয়ে পড়ানোর অনুমোদন রয়েছে’’। তবে বিবাহ ক্ষেত্রে রয়েছে। মক্কা ও মদিনার দুই মসজিদে বিবাহের সময় উচ্চ-স্বরে আওয়াজ কথা বলা যাবে না যার ফলে মুসল্লিদের নামাজ বা ইবাদতে কোন প্রকার মনোযোগ নষ্ট করা যাবে না। বিবাহের নিয়ম নীতি বিষয়ে কোন প্রকার বাড়াবাড়ি থাকববে না। পবিত্রতা রক্ষা সচেতন পাশাপাশি মসজিদে কফি, মিষ্টান্নসহ অন্যান্য খাবার বেশি পরিমাণে আনা যাবে না। কোন ভাবে মক্কা ও মদিনার দুই মসজিদে বিবাহের সময় মসজিদের পরিবেশ যাতে নষ্ট না হয় সেই দিকে দৃষ্টি রাখা প্রতি ও অনুরোধ জানানো হয়েছে।