মহান আল্লাহর অন্যতম একটি গুণ।
1 min readমহান আল্লাহর অন্যতম একটি গুণ।
মহান আল্লাহর গুণবাচক অনেক নাম আছে। ওই নামগুলো আসমাউল হুসনা’ বলে পরিচিত। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, আল্লাহ তাআল্লার ৯৯ নাম আছে। যে ব্যাক্তি (সঠিকভাবে) এগুলো গণনা ও মুখস্ত করবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (বুখারি হাদিসঃ ২৭৩৬)
মহান আল্লাহর অন্যতম একটি গুণবাচক নাম হলো, গফুর বা ক্ষমাশীল। তিনি বান্দার অপরাদের বিচার সঙ্গে সঙ্গে করতে পারেন কিন্তু তিনি বান্দার অপরাধ ক্ষমা করেন, ও পাপিকে অবকাশ দেন এবং তওবাকারীর তাওবা কবুল করেন।
পবিত্র কোরআনে এসেছে, নিশ্চয় আল্লাহ মার্জনাকারী ও ক্ষমাশীল। (সুরাঃ নিসা, আয়াতঃ ৪৩)
ক্ষমা করা আল্লাহর পূর্ণ ইচ্ছাধীন। মহান আল্লাহ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে,’ আর আল্লাহর জন্যই সব কিছু যা আছে আসমানে ও জমিনে। তিনি যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন আবার যাকে ইচ্ছা শাস্তি দেন। আল্লাহ ক্ষমাশীল ও দয়াময়। (সুরাঃ আলে ইমরান, আয়াতঃ ১২৯)
মহান আল্লাহর ক্ষমার দরজা তার বান্দাদের জন্য সবসময় খোলা। তবে শর্ত হলো, আল্লাহর সঙ্গে শিরক বা শরিক করা যাবে না। আনার্স (রাঃ) থেকে বণির্ত, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, আল্লাহ তা’আলা বলেন, ‘হে আদম সন্তান! তুমি যতক্ষণ পর্যত আমাকে ডাকবে এবং আমার কাছে ক্ষমার আশা রাখবে, তোমার অবস্থা যাই হোক না কেন, আমি কারোর পরোয়া করি না। হে আদম সন্তান! তোমার গুনাহ যদি আকাশ পর্যন্তও পৌছে, আর তুমি আমার কাছে ক্ষমা চাও, আমি তোমাকে ক্ষমা করে দেব, আমি কারোর পরোয়া করি না। হে আদম সন্তান, তুমি যদি পৃথিবী ভর্তি গুনাহ নিয়ে আমার কাছে হাজির হও এবং আমার সঙ্গে কারোর শরিক না করা অবস্থায় সাক্ষাৎ করো, আমি পৃথিবিব্যাপী ক্ষমা নিয়ে তোমার কাছে হাজির হব। (তিরমিজি, হাদিসঃ ৩৫৪০)
আল্লাহ তা’আলা যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন, আবার যাকে ইচ্ছা শান্তি প্রদান করেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর আল্লাহরই জন্য নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের রাজত্ব। তিনি যাকে চান ক্ষমা করেন আবার যাকে চান শাস্তি দেন। আল্লাহ ক্ষমাশীল ও দয়াবান। (সুরাঃ আহজাব, আয়াতঃ ১৩-১৪)
অন্য আয়াতে এসেছে, তিনিই (আল্লাহ) তাঁর বান্দাদের হক কবুল করেন ও পাপ সমূহ মার্জি করেন। আর তিনি জানেন তোমরা যা করে থাকো। (সুরাঃ শুরা, আয়াতঃ ২৫)
মহান আল্লাহ তা’আলা অসীম ক্ষমাশীল ও দয়ালু। জুলুমের প্রতিশোধ গ্রহন ও শান্তিদানের পূর্ণ ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও তিনি সহজে কাউকে শান্তি দেন না। তিনি বান্দাকে অবকাশ দেন, ও ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ দেন।
আল্লাহতাআলা বলেন, ‘আর যদি আল্লাহ মানুষকে তাদের সীমা লঙ্ঘনের জন্য পাকড়াও করতেন, তাহলে পৃথিবীতে কোনো প্রাণীকেই তিনি ছাড়তেন না। কিন্তু তিনি একটা নির্ধারিত মেয়াদ পর্যন্ত তাদের অবকাশ দেন। (সুরাঃ নাহাল, আয়াতঃ ৬১)
পরিশেষে আমরা বলতে পারি যে, মহান আল্লাহ তা’আলা পরম করুণাময় এবং অত্যন্ত ক্ষমাশীল। আর এটি হলো তার অন্যতম একটি গুণ। তাই আসুন আমরা মহান আল্লাহর প্রতি ভালো ধারণা রাখি এবং প্রতি নিয়ত তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি। তিনি অবশ্যই আমাদেরকে ক্ষমা করে দিবেন।