মিলেমিশে থাকার উপকারিতা।
1 min readমিলেমিশে থাকার উপকারিতা।
সমাজ ও পরিবার নিয়ে মানুষকে জীবন-যাপন করতে হয়। আর জীবন-যাপনের ক্ষেত্রে একতাবদ্ধ থাকার গুরুত্ব অনেক বেশি। সবাই মিলেমিশে থাকলে পরিবার ও সমাজের জন্য কল্যাণকর।
যে ব্যক্তি মুসলমানদের জামাত থেকে এক বিঘত পরিমাণ বের হয়ে গেল তার গর্দান থেকে ইসলামের গণ্ডি ছিন্ন হলো, যতক্ষণ না সে ফিরে আসে। যে ব্যক্তি মানুষকে জাহেলিয়াত আমলের রীতি-নীতির দিকে আহবান করে, সে ব্যাক্তি জাহান্নামিদের দলভুক্ত হবে। যদিও সে সিয়াম পালন করে, সালাত আদায় করে এবং ধারণা করে যে, সে একজন মুসলিম। (তিরমিজি, হাদিসঃ ২৮৬৩)
তাছাড়া সবাই মিলেমিশে থাকলে অনেক উপকারিতা রয়েছে, কুরআন ও হাদিসের আলোকে সেগুলো নিচে আলোচনা করা হলোঃ
আল্লাহর রহমত লাভঃ
আল্লাহর রহমত লাভ সংঘবদ্ধ জীবনে আল্লাহর রহমত থাকে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, জামাতের ওপর আল্লাহর হাত আছে। (তিরমিজি, হাদিসঃ ২১৬৫)
অন্যত্র তিনি বলেন, জামাতবদ্ধ থাকা রহমত এবং বিচ্ছিন্নতা আজাব। (সহিহুল জামে, হাদিসঃ ৩১০৯)
সুসম্পর্ক গড়ে উঠেঃ
সংগঠনভুক্ত কর্মীদের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। যেমন আল্লাহ বলেন, মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসূল। আর যারা তার সাথি, তারা অবিশ্বাসীদের প্রতি কঠোর ও নিজেদের মধ্যে সহানুভূতিশীল। (সুরাঃ ফাতহ, আয়াতঃ ২৯)
শক্তি বৃদ্ধি হয়ঃ
শক্তি বৃদ্ধি করা পার্থিব জীবনে সংগঠন একটি বিশাল শক্তি। ঐক্যবদ্ধ জনবল না থাকলে অস্ত্রশক্তিও কোনো কাজে আসে না। এ জন্য আল্লাহর নির্দেশ হচ্ছে, কাফিরদের মোকাবেলার জন্য তোমরা সাধ্যমতো শক্তি ও সদাসজ্জিত অশ্ববাহিনী প্রস্তুত রাখো, যা দিয়ে তোমরা আল্লাহর শত্রু ও তোমাদের শত্রুদের ভীত করবে। (সুরাঃ আনফাল, আয়াতঃ ৬০)
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, একজন মুমিন আরেকজন মুমিনের জন্য প্রাসাদস্বরূপ, যার এক অংশ অপর অংশকে শক্তিশালী করে থাকে। এ বলে তিনি তাঁর হাতের আঙুলগুলো একটার মধ্যে আরেকটা প্রবেশ করালেন। (বুখারি, হাদিসঃ ৪৮১)
শয়তানের কবল থেকে রক্ষাঃ
শয়তান মানুষকে বিচ্ছিন্ন রাখতে চায়। কারণ তারা ঐক্যবদ্ধ হলে শক্তিতে পরিণত হবে। এটা সে চায় না।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, শয়তান এ বিষয়ে নিরাশ হয়ে গেছে যে আরব উপদ্বীপে মুসল্লিরা তার ইবাদত করবে। তবে সে তাদের পরস্পরের মধ্যে বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টির ব্যাপারে নিরাশ হয়নি। (আবু দাউদ, হাদিসঃ ৩৩৭৪)
আর একাকী থাকলে শয়তান সঙ্গী হয় এবং ঐক্যবদ্ধ থাকলে শয়তান দূরে থাকে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, তোমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে বসবাস করো। সামাজিক শৃঙ্খলা সংগঠন সমাজ জীবনে শৃঙ্খলা শেখায়। স্বেচ্ছাচারিতা আত্মকেন্দ্রিক না করে বস্তুকেন্দ্রিক করে।
তাছাড়া ঐক্যবদ্ধ জীবন-যাপন করা মুমিনের জন্য অপরিহার্য। মিলেমিশে জীবন পরিচালনা করা ইসলামের নির্দেশনা। এ বিষয়ে আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন, হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহর রজ্জুকে (ইসলামকে) আঁকড়ে ধর, ঐক্যবদ্ধ হও এবং পরষ্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না। (সুরাঃ আল-ইমরান, আয়াতঃ ১০৩)