Islamic Zone

islamic zone

ইসরাইল ও ফিলিস্তিনি যুদ্ধের শুরু থেকে আল আকসায় প্রাঙ্গণ মুসল্লিশূন্য।

1 min read
মুসল্লিশূন্য

মুসল্লিশূন্য

ইসরাইল ও ফিলিস্তিনি যুদ্ধ ইস্যুতে আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণ মুসল্লিশূন্য পরিবেশ তৈরি হয়েছে ।

গত ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরুর পর পবিত্র এ মসজিদে প্রবেশে আগের চেয়ে কঠোরতা বাড়িয়েছে দখলদার ইসরায়েল সেনারা। লাগাতার দুই মাস পবিত্র মসজিদুল আকসায় জুমার নামাজ পড়তে মুসল্লিদের প্রবেশে বিধি-নিষেধ অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি পুলিশ ও সেনাবাহিনী। এ নিয়ে গত দুই মাস আটটি জুমার নামাজে পবিত্র আল-আকসা মসজিদ ও এর প্রাঙ্গণ প্রায় মুসল্লিশূন্য ছিল। সর্বশেষ গত ১ ডিসেম্বর এ মসজিদে মাত্র সাড়ে তিন হাজার মুসল্লি জুমার নামাজ পড়েছেন। এই বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হয়েছে। লেখালেখি হয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক নিউজ পেপারগুলোতেও।

প্রতি জুমার নামাজে এখানে মুসল্লি আসেন প্রায় ৫০ হাজার। তবে ইসরাইল ও ফিলিস্তিন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরাইলি পুলিশের কঠোরতার কারনে এই জুমায় আকসায় মাত্র সাড়ে তিন হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করেছেন বলে জানিয়েছেন, জেরুজালেমের ইসলামিক ওয়াকফ বিভাগ।

গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে মসজিদে প্রবেশে শক্ত অবস্থানে রয়েছে ইসরায়েলি পুলিশ। আর জুমার দিন তাদের বিধি-নিষেধ আরো কঠোরভাবে পালন করা হয়।’ ওয়াকফ বিভাগ আরো জানায়, ‘পবিত্র আল-আকসা মসজিদ ও আশপাশের চত্বর প্রায় মুসল্লিশূন্য থাকলেও সেখানে মুসল্লিদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি।

আল-আকসা মসজিদে শিশু, তরুণ-তরুণী, যুবক বয়সী কাউকে প্রবেশের অনুমোতি দেওয়া হচ্ছে না। শুধু ৬৫ বছরের বেশি বয়সী মুসল্লিদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছে। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গত আট জুমায় ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ বেশির ভাগ মুসল্লিদের মসজিদে প্রবেশে বাধা দেয়।’ মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে না পেরে বিভিন্ন বয়সের মুসল্লি রাস্তায় নামাজ আদায় করতে বাধ্য হন ।

ইসরাইলের দক্ষলদার বাহিনী কম বয়সীদের মসজিদে প্রবেশে বাধা দেয় এবং অনেককে গ্রেপ্তার করে। জেরুজালেমের অলি গলিতে মোতায়েন করা ইসরায়েলি পুলিশ ও সেনা বাহিনী। এমনকি ওয়াদি আল-জোজ এলাকায় মুসল্লিদের ওপর ইসরায়েলি পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। যার ফলে মুসল্লিশূন্য পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে আল-আকসা প্রাঙ্গণ।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকে ৪৮ দিন ধরে গাজা উপত্যকায় নৃশংস হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে ইসরায়েল। গত ২৪ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধবিরতি গত শুক্রবার শেষ হয়। যুদ্ধ বিরতি  পরে বর্তমান ফিলিস্তিনিতে ১৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হেয়েছে। যার মধ্যে অর্ধেকের বেশি শিশু ও নারী রয়েছে। এ সময়ে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে বন্দি ও জিম্মি বিনিময় হয়েছে। ইসরাইল তাদের বন্দির বিনিময়ে যুদ্ধ বিরতিতে রাজি হয়েছিল তবে যুদ্ধ বিরতি শেষ হতে না হতেই শুরু হয় তাদের নারকিয়তা ও বরবর্তা।

আরো সংবাদ জানতে ভিজিট করুন >

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copyright ©2024 All rights reserved | www.islamiczone.org | Develop by www.kictbd.com | Newsphere by AF themes.