যৌবন কালের ইবাদত, আল্লাহর দেওয়া নিয়ামত।
1 min readযৌবন কালের ইবাদত, আল্লাহর দেওয়া নিয়ামত।
যে ব্যক্তি তার যৌবনকে আল্লাহর ইবাদতে ব্যয় রাখবে, কঠিন কিয়ামতের দিন আল্লাহর আরশের ছায়াতলে আশ্রয় পাবে।
পবিত্র হাদিসে ইরশাদ আছে, রাসুল্লাহ (সা.) বলেন, যেদিন আল্লাহর রহমতের ছায়া ছাড়া আর কোন স্থান থাকবে না। সে দিন সাত ব্যক্তিকে আল্লাহ তা’আলা তাঁর নিজের ছাওয়ায় আশ্রয় দিবেন। তার মধ্যে সে যু্বক, যার জীবন গড়ে উঠেছে তার প্রতিপালকের ইবাদতের মাধ্যে। (বুখারি হাদিসঃ ৬৬০)
এ জন্য নবীজী (সাঃ) যুবকদের বিভিন্ন সময় বিশেষভাবে দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। বিভিন্ন সময়ে সর্তক করেছেন। কারণ যৌবন কখনো কখনো মানুষকে পথভ্রষ্ট করে। যৌবনের তারনায় অনেক ধরনের পাপ কাজে লিপ্ত হয়। এ কারনেই যুবকদের উদ্দেশ্য রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, হে যুবকদের দল! তোমাদের মধ্যে যে বিয়ের সামর্থ্য রাখে সে যেন বিয়ে করে, আর যে বিয়ের সামর্থ্য রাখে না সে যেন সিয়াম পালন করে। (বুখারি, হাদিসঃ ৫০৬৫)
যৌবনে কেউ কেউ অধিক ফ্যাশানপ্রিয় হয়। তাদের চুল পোশাক ও বেশভূষায় থাকে। এ গুলো যুবক-যুবতিদের ভুল পথে পরিচালিত করে। রাসূলুল্লাহ এধরনের কাজকে পছন্দ করতেন না। তাই তিনি এক সাহাবিকে এ ধরনের কাজের ব্যাপারে সর্তক করেছিলেন।
যৌবন কাল যুবক- যুবতিদের ইবাদত করার সময়। এ সময় যুবক-যুবতি শক্তি ও সুস্থতা দুটই থাকে। বৃদ্ধ হয়ে গেলে তা অনেক সময় সম্ভব হয় না। তাই এই মহা মুল্যবান নিয়ামত কোনভাবেই অবহেলা করা উচিত নয়। কারন কিয়ামতের দিন যৌবন কালের হিসাব নেওয়া হবে।
সুতরাং যৌবন কালের ইবাদত আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয়। যৌবনের ইবাদত আল্লাহর দেওয়া বড় একটি নেয়ামত। তাই আসুন আমরা যৌবনের সময়টাকে আল্লাহর জন্য ব্যয় করি।