রোজা রাখার গুরুত্ব ও ফজিলত।
রোজা রাখার গুরুত্ব ও ফজিলত।
রোজা ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আল্লাহর বিধান অনুসারে প্রতি বছর রমজানে এক মাস জুড়ে রোজা পালিত হয়ে থাকে। মহান আল্লাহ্ তা’আলা রমজানের এই রোজা’’কে তার বান্দাদের জন্য ফরজ করেছেন। এজন্য প্রতিটি ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের জন্য রোজা রাখা বাধ্যতামূলক। রোজার অনেক গুরুত্ব ও ফজিলত রয়েছে, সে সর্ম্পকে নিচে আলোচনা করা হলো।
হযরত সাহল (রা.) আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, জান্নাতে রাইয়ান নামক একটি দরজা আছে। কিয়ামতের দিন শুধুমাত্র রোজাদার ব্যক্তিরা উক্ত দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করবে। তারা ছাড়া অন্য কেউ উক্ত দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। কিয়ামতের দিন রোজাদার ব্যক্তিদের এই বলে ডাকা হবে যে, রোজাদাররা কোথায়? তখন রোজাদাররা দাঁড়াবে। যখন তারা উক্ত দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করবে, তখন দরজাটি বন্ধ করে দেওয়া হবে। অন্য কেউ আর সেই দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। (বোখারী শরীফ, হাদিসঃ ১৭৯৭)
হযরত আবু হুরায়রা (রা.) আনহু হতে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি ঈমান অবস্থায় আল্লাহর সন্তুষ্টি ও সওয়াব লাভের নিয়তে রমজানে রোজা রাখবে তার অতীতের সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। (বোখারী শরীফ, হাদিস, ১৮০২
হযরত আবু হুরায়রা (রা.) আনহু হতে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, রোজাদারদের দুইটি আনন্দের সময় রয়েছে, যে দুটি সময়ে তারা আনন্দ করবে। একটি হলো ইফতারের সময়, অপরটি হলো পরকালে আল্লাহর সাথে সাক্ষাতের সময়। (মুসলিম শরীফ, হাদিসঃ ১১৫১)
হযরত আবু হুরায়রা (রা.) আনহু হতে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, রোজা ঢাল স্বরুপ। সুতরাং, রোজাদার ব্যক্তি অশ্লীল কথা বলিবে না বা জাহেল আচরণ করিবে না। কেউ রোজাদার ব্যক্তির সাথে ঝগড়া করতে চাইলে বা গালমন্দ করলে সে বলবে, আমি রোজা রেখেছি। কথাটি দুইবার বলবে। যাহার মুষ্টিতে আমার প্রাণ সেই আল্লাহর শপথ, রোজাদারদের মুখের গন্ধ আল্লাহর নিকট মেসকের সুগন্ধ অপেক্ষাও উৎকৃষ্ট। আমার উদ্দেশ্যেই খাবার, পানীয় ও লোভনীয় বস্তু পরিত্যাগ করা হয়। সুতরাং রোজার পুরস্কার বিশেষভাবে আমি দান করিব, আর নেক কাজের পুরস্কার দশগুণ পর্যন্ত দেওয়া হইয়া থাকে। (বোখারী শরীফ, হাদিসঃ ৭২৪)