লাইলাতুল কদরের অনুসন্ধান ও ফজিলত।
1 min readলাইলাতুল কদরের অনুসন্ধান ও ফজিলত।
লাইলাতুল কদরের অনুসন্ধান ও ফজিলত।
লাইলাতুল কদর ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি রাত। লাইলাতুল কদর রাতের অনেক ফজিলত রয়েছে। আর এই লাইলাতুল কদর আমরা কিভাবে অনুসন্ধান করব এবং এই রাতের ফজিলত কি? সেই সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো।
লাইলাতুল কদরের অনুসন্ধানঃ
লাইলাতুল কদর রমজানের শেষ দশকে মধ্যে রয়েছে। বিশেষ করে রমজানের শেষ দশকে বিজোড় রাতগুলোর মধ্যে লাইলাতুল কদর লুকায়িত আছে।
আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) রমজানের শেষ দশকে ইতেকাফ করতেন এবং বলতেন তোমরা রমজানের শেষ দশকে লাইলাতুল কদর তালাশ করো। (বুখারী হাদিসঃ ১৮৯৩, মুসলিম হাদিসঃ ২৬৪৭)
তবে একাধিক হাদিসের ভাষ্যমতে, রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতে লাইলাতুল কদর হয়ে থাকে। এজন্য রমজানের ২১,২৩,২৫,২৭ ও ২৯ রাত গুলোতে গুরুত্বের সঙ্গে ইবাদত করতে বলা হয়েছে।
লাইলাতুল কদরের কিছু আলামত রয়েছে। লাইলাতুল কদর সন্ধা থেকে ফজর পর্যন্ত পুরোটাই গুরুত্বপূর্ণ।
রাসুল (সা.) বলেন, লাইলাতুল কদরের আলামত হচ্ছে স্বচ্ছ রাত যে রাতে চাঁদ উজ্জল হবে। আবহাওয়ায় প্রশান্তি থাকবে। না ঠান্ডা, না গরম। সকাল পর্যন্ত আকাশে কোনো উল্কাপিন্ড দেখা যাবে না। ওই রাতে চাঁদের মতো সূর্য উঠবে আলোকরশ্মি ছাড়া। শয়তান সেই সময় বের হয় না। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিসঃ ২২৭৬৫)
লাইলাতুল কদরের ফজিলতঃ
লাইলাতুল কদর হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ তা’আলা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেছেন, নিশ্চয় আমি কুরআন নাযিল করেছি লাইলাতুল কদরে। আপনি কি জানেন, লাইলাতুল কদর কী? লাইলাতুল কদর হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। এ রাতে ফেরেশতারা ও জিব্রাইল (আ.) আল্লাহর নির্দেশে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে অবতরণ করেন। এই রাতে ফজর পর্যন্ত প্রশান্তি বর্ষিত হয়। (সুরা কদর, আয়াতঃ ১-৫)
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি লাইলাতুল কদরে ঈমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রাত জেগে ইবাদত করে তার পেছনের সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করা হবে। আর যে ব্যক্তি ঈমানসহ সওয়াবের আশায় রমজানের রোজা পালন করবে তারও অতীতের সমস্ত গুনাহ মাফ করা হবে। (বুখারী হাদিসঃ ১৭৮০, মুসলিম হাদিসঃ ১৬৫৪)