Islamic Zone

islamic zone

 হযরত আলী (রাঃ) এর সংক্ষিপ্ত জবিনী।

1 min read
হযরত আলী (রাঃ)

হযরত আলী (রাঃ) এর সংক্ষিপ্ত জবিনী।

হযরত আলী (রাঃ) বাল্যকাল ও শৈশবকাল:

আবু আব্দুল মুত্তালিব ছিলেন তৎকালীন আরবে বিখ্যাত কোরশ বংশের হাসেমী গোত্রের সরদার। তিনি একদিন যেমন ছিলেন সম্মানিত তেমনি ছিলেন ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা। পবিত্র কা’বা ঘরের রক্ষণাবেক্ষণের দায়- দায়িত্বে ছিল তার উপর।

আবুর তালিবের দশজন পুত্র সন্তান ছিল। তাদের মধ্যে আবদুল্লাহ, আবু তালিব, আবু লাহাব, হামজা, আব্বাস সর্বাধিক প্রসিদ্ধ ছিলেন। আর আবু তালিবের ঘরে জন্মগ্রহণ করে ছিলেন হযরত আলী (রাঃ)। হযরত আলী (রাঃ) শৈশবকাল হইতে ছিলেন একজন জ্ঞান আহবান করার একজন বিদ্যা পিপাসু। কিন্তু তার পিতা আবু তালিব তেমন স্বচ্ছল ছিল না। সামান্য ব্যবসা-বাণিজ্য করে তার সাংসারিক জীবিকা অর্জন করতেন। আবদুল মুত্তালিবের মৃত্যুর পর শিশু মুহাম্মদ (সাঃ)-কে লালন পালনের ভারও তাঁর উপর ছিল। শিশুকাল হতেই হযরত আলী (রাঃ) ক্রীড়া কৌতুক এবং নানারূপ শক্তির প্রতিযোগিতার প্রতি বেশী আসক্ত ছিলেন বলে জানা যায়।

বাল্যকালে সঙ্গী সাথীদের সঙ্গে তলোয়ার, ধনুক ইত্যাদির দ্বারা খেলা করাই ছিল তার নেশা আর পেশা। এছাড়া তিনি যুদ্ধবিদ্যার কলাকৌশলেও পারদর্শী হয়ে উঠেছিলেন। বিক্রম ও সাহসিকতার বীজ তার অন্তরে বাল্যকাল হতেই অঙ্কুরিত হয়েছিল পরবর্তী জীবনে তিনি সাহসী বীরপুরুষ শক্তিমান ও সমর কুশলী পৃথিবীতে প্রসিদ্ধ লাভ করেছিলেন।

শৈশবকাল হতেই তাঁর স্মৃতি শক্তি ছিল খুবই প্রখর। একবার যা তিনি শুনতেন তা তিনি ঐ সময়েই অবিকল বলে দিতে পারতেন। তা তিনি এমনভাবে স্মরণ রাখতে পারতেন। তখনকার দিনে আরবে ছিল কবিতা আর ছন্দের প্রতিযোগীতার দেশ। ছেলে বুড়া সবাই নানারূপ কবিতা আবৃতি করে তারা খুব আনন্দ উপভোগ করতে ভালবাসতেন।

হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর সাথে আলী (রা.) সম্পর্ক:

হযরত আলী (রাঃ) ও ছেলেবেলা হতেই কবিতার প্রতি বিশেষভাবে আসক্ত ছিলেন। পরিণত বয়সে তিনি বহু জ্ঞান গর্ব রচনা করেছিলেন। বিবি খাদিজাকে বিয়ে করার পর হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) যখন নিজে উপার্জনক্ষম হলেন তখন চাচার দারিদ্র্যতা লক্ষ্য করে তিনি হযরত আলীকে নিজের সংসারের নিয়ে আসলেন।

মহানবী (সাঃ) হযরত আলী (রাঃ) কে অত্যন্ত ভালবাসতেন বলে জীবনের বেশির ভাগ সময় তার সঙ্গীরূপে ছিলেন। মহানবী (সাঃ) যখন নবুয়্যত প্রাপ্ত হন তখন হযরত আলীর (রাঃ) এর বয়স ছিল মাত্র দশ বছর। একদিন মহানবী (সাঃ) বললেন যে মহান আল্লাহ এই ত্রিভুবন সৃষ্টি করেছেন এবং লালন-পালন করছেন, আমরা সেই আল্লাহর নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলাম। আচ্ছা আলী তুমি কি আমাকে একান্তভাবে বিশ্বাস কর?

হযরত আলী (রাঃ) বললেন, হযরত! আমি আপনাকে অন্তরের সাথে সব সময় বিশ্বাস করি এবং সারাজীবন বিশ্বাস করবো। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) খুশি হয়ে সেই মুহূর্তেই তাকে কালেমা পাঠ করালেন, আলী মুখে বল:-

”লাইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ।

বালকদের মধ্যে হযরত আলী (রাঃ) সর্বপ্রথম বালক ইসলাম গ্রহণকারী ছিলেন। হযরত আলী শৈশব হতেই মুহাম্মদ (সাঃ) এর তত্ত্বাবধানে থেকে তার শিক্ষা-দীক্ষা ও জ্ঞানে-গুণে ও মহত্ত্বে সুযোগ্য করে তুলেছিলেন এবং তার দ্বারাই পিতৃব্যের অপরিশোধ্য দানের কিছুটা প্রতিদান দিতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর প্রতি হযরত আলী (রাঃ) এর প্রতি একান্তভাবে নির্ভরশীল ছিলেন। তাই সহজেই তিনি সত্য ধর্মে দীক্ষা পেয়েছিলেন। দীক্ষা গ্রহণের পর হতেই তার নুতন জীবন শুরু হয়েছিল।

শিক্ষা-দীক্ষার চর্চায় ও রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর অনুপ্রেরণা ও উপদেশে তিনি পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছিলেন চরিত্রে এবং মহত্বে। অল্প বয়সেই তিনি আরবে অন্যতম শ্রেষ্ঠ আলেমে হিসেবে প্রসিদিদ্ধ লাভ করেন। জ্ঞান গরিমায়, ত্যাগে মহত্ত্বে, ইবাদতে উপসনায় হযরত আলীর জুড়ি ছিল না। সাহসে, বিক্রমে বীরত্বের বল বীর্যে তিনি আরবের বিখ্যাত বীরদের জন্য ভীতি ও ত্রাসের পাত্র ছিলেন। ভাই তিনি শেরে খোদা বা আল্লাহ্র সিংহ বলে খ্যাতি লাভ করেন। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) তাঁকে এক সময় বলেছিলেন

আলী তুমি আমার সাথে বেহেশতে প্রবেশ করবে। কারণ আমার বন্ধুজনের মধ্যে তুমি সর্বশ্রেষ্ঠ।

হযরত আলী (রাঃ) এর পারিবারিক জীবন:

হযরত ফাতিমা (রাঃ) এর মৃত্যুর পর তিনি বিভিন্ন সময়ে নয়টি বিবাহ করেন। স্ত্রীগণ হলেন :

প্রথম স্ত্রী খাতুনে জান্নাত হযরত ফাতিমাতুজ যোহরা (রাঃ)।

তার পুত্র সন্তানগণ হলেন:-(১) হযরত ইমাম হাসান (রাঃ) (২) ইমাম হোসাইন (রাঃ) (৩) হযরত মোহসীন (রাঃ)

কন্যাগণ হলেন- (১) হযরত রোকাইয়া (রাঃ) (২) উম্মে কুলসুম (রাঃ) (৩) হযরত যয়নব (রাঃ)।

২য় স্ত্রী উম্মুল বামিনা।

তার পুত্রগণ হলেন:- (১) জাফর (রাঃ) (২) হযরত আব্বাস (রাঃ) (৩) হযরত আবদুল্লাহ (রাঃ)  (৪) হযরত আবদুল্লাহ (রাঃ) (৫) হযরত ওসমান (রাঃ)

৩য় স্ত্রী হযরত আসমা (রাঃ)

তার পুত্র সন্তানগণ হলেন-(১) হযরত ওবাইদুল্লাহ ও (২) হযরত আবুবকর (রাঃ)

৪র্থ স্ত্রী হযরত আসমা(৪)।

তার পুত্র সন্তানগণ হলেন- (১) হযরত আসগর ও (২) হযরত ইয়াহইয়া ।

৫ম স্ত্রী হযরত ইমাম (রাঃ)

তার সন্তান হলেন-(১) হযরত মুহাম্মদ আওসাত (রাঃ)

৬ষ্ঠ স্ত্রী হযরত খাওলা (রাঃ)

তার সন্তান হলেন- (১) মুহাম্মদ হানাফিয়া (রাঃ)

৭ম স্ত্রী হযরত মহবা (রাঃ)

তার সন্তানগণ হলেন- (১) হযরত ওমর (রাঃ) (২) কন্যা হযরত রোকাইয়া (রাঃ)

৮ম স্ত্রী উম্মে সাঈদ মহিরাত মৃত কন্যা সন্তান।

৯ম স্ত্রী উম্মে সাঈদী (রাঃ)

তার সন্তানগণ হলেন- (১) হযরত উম্মুল হাসান (২) হযরত রোমালা কোবরা (রাঃ)।

ইসলামের প্রচারে আলী (রাঃ):

হযরত আলী যেমন ছিলেন, অসাধারণ যোদ্ধা তেমনি অতুলনীয় ও অভাবনীয় বক্তাও ছিলেন। তিনি বক্তৃতা কালে শ্রোতাবৃন্দের মধ্যেও কথা শোনা আগ্রহ থাকতো প্রবল। তার ভাষণ ছিল খুব হৃদয় স্পর্শক। এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলে-

অন্তরের কথা অন্তরকে স্পর্শ করে। মুখের কথা কানকে শব্দ রূপে স্পর্শ করে। তাই আলী ছিলেন মানুষের অন্তরজয়ী বিরল বক্তা বিশুদ্ধ বচন।”

দশম হিযরীতে ৬৩২ ঈসায়ী রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বিভিন্ন স্থানে ইসলামের প্রচারের জন্য প্রতিনিধি পাঠান। ইয়ামেনে পাঠিয়েছিলেন খালিদ বিন ওয়ালিদ (রাঃ)-কে তিনি দু’মাস চেষ্টা করেও ভাল ফল লাভ করতে না পারায় রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আলী (রাঃ)-কে ইয়ামেনে পাঠাবেন বলে মন স্থির করলেন। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আলী (রাঃ)-কে প্রস্তাব দেয়া মাত্রই আলীর মনে একটু দ্বিধার সঞ্চার হল, তিনি কি পারবেন মুহাম্মাদ (সঃ) এর আশা পূরণ করতে। তখন রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আলীর ভাবনার কারণ বুঝতে পেরে বললেন-

“হে আলী তুমি চিন্তা কর না, আল্লাহ তোমাকে সফলকাম করবেন।”

অতঃপর মুহাম্মাদ (সাঃ) আলীর বক্ষে হাত রেখে আল্লাহ্ তায়ালার কাছে দোয়া করলেন। সাথে সাথে আলীর অন্তরের সাহস ও সফল্য হওয়ার মানসিকতা যেন শত গুণে বৃদ্ধি হয়ে উঠল। অতঃপর হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) নিজ হাতে আলী মাথায় পাগড়ি বেঁধে দিলেন, হাতে দিলেন একটি কাল পতাকা, সাথে দিলেন তিনশত সাহাবা। কর্মবীর আজ মহান ধর্মবীরে পরিণত হলেন। অতঃপর হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) আলীকে কিছু উপদেশ বা নির্দেশ দিলেন।

তারপর হযরত আলী (রাঃ) হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রাণভরা দোয়া মাথায় নিয়ে আল্লাহকে স্মরণ করে বের হলেন। ইয়ামেনের বিখ্যাত গোষ্ঠী ছিল হামদান। তারা সকলেই ইসলাম কবুল করার পর ইয়ামেনবাসী ইসলাম কবুল করল। আলী বিপুল বিজয়ে ভূষিত হলেন। রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-এর আশা-আকাঙ্খা ও দোয়া ব্যর্থ যায়নি।

হযরত আলী (রাঃ) খলিফার দায়িত্বে:

হযরত ওসমান (রাঃ) বারো বছর খেলাফতের পর বিরাশি বছর বয়সে কোরআন তেলোওয়াতের সময় মুসলমানদের হাতে শাহাদত বরণ করলেন। ইসলামের খলিফা হওয়া সত্ত্বেও ও ইসলাম রাজ্যে রাজত্ব থাকাকালে তার মৃত দেহ রাতের অন্ধকারের গোপনে তার করব দেয়া হল।

এই ছিল তখন মুসলমানদের কুর্কীতি, এখনও সমাজে এবং রাষ্ট্রে চলছে ইসলামের এই সন্ত্রাস। যাক এসব কথা; ইসলামের পরবর্তীতে হযরত আলী (রা.) খলিফা হলেন। হযরত ওসমানের (রাঃ) মৃত্যু পর পাঁচদিন চলে গেল তখন কোন খলিফা বা ইসলামের কর্ণধার কেউ নেই। এই ধরনের ঘটনা ইসলামের ভিতর ইতিপূর্বে আর ঘটেনি। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ওফাতের পর তার দাফনের আগেই হযরত আবু বকর খলিফা নির্বাচিত হয়েছিলেন।

হযরত আবু বকর (রাঃ)-এর ইন্তিকালের আগে মৃত্যুশয্যায় শায়িত  অবস্থা হইতেই হযরত ওমর (রাঃ)-কে তার স্থলাভিষিক্ত ঘোষণা করে গিয়েছিলেন। আর হযরত ওমর (রাঃ) তার ইন্তিকালের পূর্বক্ষণ দুই প্রধান সাহাবীর এক নির্বাচক মন্ডলী গঠন করে তাদের হাতে দিয়েছিলেন স্থলাভিষিক্ত নির্বাচনের গুরুদায়িত্ব। হযরত ওসমান (রাঃ) তেমন কোন ব্যবস্থা করে যেতে পারেনি।

হযরত ওমর যে ছ’জন প্রধান সাহাবীকে নিয়ে নির্বাচকমন্ডলী গঠন করে গিয়েছিলেন, ইতিমধ্যে তাঁদের দুজনের মৃত্যু হয়েছে। একজন গোড়াতেই নিজে খলিফা পদপ্রার্থী হতে অস্বীকৃত জানিয়েছেন। বাকি আছেন হযরত আলী, তালহা আর জোবায়ের। বিদ্রোহীদের চাপে এবার মদিনাবাসী আনসার আর মুহাজিরগণ একত্রিত হয়ে হযরত আলীকে খলিফা নির্বাচনের সঙ্কল্প করে জানালেন।

হযরত আলী (রাঃ) প্রথমে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন, হয়তো অস্বাভাবিক অবস্থা ও গুরু দায়িত্বের কথা কল্পনা করেই তিনি খলিফা হতে অনীহা প্রকাশ করলেন। উপস্থিত সবাই তখন এক বাক্যে বলে উঠলেন, আজ যদি আমরা খলিফা নির্বাচন না করে ফিরে যাই তাহলে এমন বিশৃঙ্খলার শুরু হবে যে, যা হয়তো কখনো থামানো যাবে না। চতুদিকে যে আগুন জ্বলে উঠবে সে আগুন নিভানোর কেউ নেই। অতএব আপনাকে রাজী হতেই হবে। তবুও তিনি তার অনিচ্ছা জানালেন এবং বলেন, ‘তালহা বা জোবায়ের যেই খলিফা হোন আমি সানন্দে তার বায়েত গ্রহণ করব।’

কিন্তু সাধারণ জনগণ এতে রাজী হলেন না। সব সাহাবীরা তখন মদিনায় ছিলেন হযরত আলী ডেকে তাদের পরামর্শ গ্রহণ করলেন। তারা সবাই বললেন, খেলাফতের দায়িত্ব তার গ্রহণ করা উচিত। দেশে শান্তি ও নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনার জন্য অনতি বিলম্বে দক্ষ খলিফা একজন চাই-ই। অতএব, হযরত আলীকে রাজী হতেই হল। তিনি এবার সোজা মসজিদে নববীতে হাজির হয়ে মিম্বরে আরোহণ করলেন আর উপস্থিত সবাই তার হাতে হাত রেখে বায়াত গ্রহণ করলেন। এমন কি তালহা আর জোবায়েরও। নতুন খলিফার প্রতি বায়েত গ্রহণের ব্যাপারে ব্যতিক্রম যে কিছু ছিল না তা নয়। তবে জনসমষ্টির বিরাট অংশই যে আনুগত্যের শপথ নিয়েছিল, তাতে কোন সন্দেহ নেই। স্বভাবত উদার ও সহিষ্ণু প্রকৃতির হযরত আলী হযরত ওসমানের ঘনিষ্ট আত্মীয় ও ভক্তদের উপর আনগত্য গ্রহণের জন্য তেমন কোন চাপ দিল না।

 হযরত আলী (রাঃ) এর মৃত্যু:

হযরত আলী (রাঃ) এর খিলাফত কালে মুসলিমদের মধ্যে খিলাফত নিয়ে কন্দল সৃষ্টি হয়। এই কন্দলের জেরে ইবনে মুজলিম বিষাক্ত বিষে মাখা একটি তলোয়ার দিয়ে হযরত আলী রাঃ এর মাথায় আঘাত করে এবং এই আঘাতের কারণেই ৪০শে হিজরী ২১ অথবা ২১ রমজান (২৮ জানুয়ারী ৬৬১ খ্রিষ্টাব্দ) মৃত্যু বরণ করেন। মৃত্যু কালে বয়স হযরত ৬২ অথব ৬৩ বছর। ইসলামের তিন খলিফা হযরত উমর রাঃ ও হযরত উসমান রাঃ এর পর তৃতীয় খলিফা হিসেবে হযরত আলী (রাঃ) হত্যাকাণ্ডের শিকার হন।

ইসলামিক আরটিকেল পড়তে ভিজিট করুন >>>

ইসলামিক বই পড়তে ভিজিট করুন >>>

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copyright ©2024 All rights reserved | www.islamiczone.org | Develop by www.kictbd.com | Newsphere by AF themes.